জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, সাংবিধানিক ধারা মেনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সে নির্বাচন হবে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের অধিনে। নির্বাচনকালীন সরকার শুধু কমিশনকে সহায়তা করবে। ওই নির্বাচনেই অংশ নেবে জাতীয় পার্টি।
বুধবার সকালে বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদের বরাতে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন রওশন এরশাদ।
এতে বিরোধী দলীয় নেতা আরো বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয় না। নির্বাচন কমিশনই পারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে। অস্থায়ী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার যাই বলা হোক না কেনো, কোনো অসাংবিধানিক সরকারের অধিনে নির্বাচন চায় না জাতীয় পার্টি।
অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর সমালোচনা করে রওশন এরশাদ বলেন, তারা কেউই জাতীয় পার্টি ও পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রতি সুবিচার করেনি। নির্বাচন, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনী প্রচারণায় জাতীয় পার্টির প্রতি নিরপেক্ষ আচরণ করা হয়নি। ৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন অস্থায়ী সরকারের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়েছে, তারা জাতীয় পার্টি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের প্রতি অন্যায় করেছে।
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, গণতন্ত্রের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কখনই সুখকর নয়। বিশ্বের উন্নত গণতন্ত্র চর্চার দেশগুলোতে এমন ব্যবস্থা নেই। ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই হতে পারে গ্রহণযোগ্য সমাধান।
আগামী সংসদ নির্বাচনে বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্রসমূহ ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের পর্যবেক্ষক হিসেবে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, দ্বিপাক্ষিক আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখুন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও সাংবিধানিক বিষয়ের উপর কারো অযাচিত হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন বেগম রওশন এরশাদ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।